FB!

Saturday, January 29, 2011

সবাই তো সুখী হতে চায়, তবু কেউ সুখী হয় কেউ হয় না....

সুখ জিনিসটা আসলে কী?
অগাধ বিত্ত-বৈভবের মালিক সুখ-সুখ করে মনে অসুখ বাঁধিয়ে ফেলে। কিন্তু সুখ তারে ধরা দেয় না। আর ঘরে দুই মুঠো অন্ন নেই, সেই মানুষ পরমানন্দে সকালের মিঠা রোদ গায়ে মেখে ঘুরছে। সত্যিকারের সুখ এমনই হয়। কৃত্রিমতাবর্জিত, সমাজ-সংসার, বস্তুজগৎ তার কাছে তুচ্ছ; মিছে মরীচিকা। সুখ কারও দেহে বা মস্তিষ্কে বাস করে না। এর স্থান মনের গহিন কোণে। যার ঝিলিক, আলোকচ্ছটা মানুষের মুখেও পড়ে।
বাহ্য জগতের কোনো বস্তুর ওপর নির্ভর না করে, অন্তরের অন্তস্তলের দিকে যদি তাকাই তাহলেই সুখ খুঁজে পাব; তার মানে দাঁড়াচ্ছে, সবার মাঝেই সুখ গ্রহণের ক্ষমতা আছে। ইচ্ছে করলে যে কেউ নিজেকে, নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুখী হতে পারেন। শরীর সুস্থ রাখতে, ত্বক সুন্দর রাখতে আমরা হররোজ কত না সাধনা করি। ব্যায়াম, খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে ওষুধপত্র গ্রহণ চেষ্টার কমতি নেই আমাদের। শরীরের প্রতি আমরা এত যত্নবান, অথচ মনের দিকে নজর দিই না। ধ্যানের মধ্য দিয়ে মনের সেই সুস্থতা পাওয়া যাবে। তবে মেডিটেশন বা ধ্যান মানে এই নয়, কয়েক মুহূর্ত আমগাছের তলায় বসলাম, আর মনটাকে শূন্য করে দিলাম। ব্যস, হয়ে গেল! না, ধৈর্য ধরতে হবে। রোজ আধঘণ্টা করে ধ্যান করতে হবে। তাও কয়েক মাস চালিয়ে যেতে হবে। তা হলেই কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে।

ইচ্ছা করলেই পছন্দমতো দুনিয়াটাকে বদলে দিতে পারি না আমরা। কিন্তু আমরা আমাদের মনটাকে বদলাতে পারি। মনকে বদলাতে পারলে আমাদের নিজস্ব পৃথিবীটাও বদলে যাবে।
তবে সুখী হওয়ার পথে কিছু অন্তরায় আছে। যেমন আত্মম্ভরিতা, আত্মকেন্দ্রিকতা। এসব যার মধ্যে আছে ওই মানুষের পক্ষে সুখ নামক সোনার হরিণটি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাই নিজেকে জাহির করার প্রবণতা কমাতে হবে। অন্যের প্রতি সমবেদনা, সহমর্মিতা বাড়াতে হবে। উদার হতে হবে, মানুষকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসতে হবে। তবেই একদিন সুখী মানুষের জামাটি আপনার গায়ে চড়বে।
Courtesy By: Prothom Alo

No comments:

Post a Comment